হুমায়রা আজম লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে যোগদান করেন। আর্থিক খাতে হুমায়রা আজম গত ৩৪ বছর ধরে ব্যবসায়িক পুনর্গঠন ও পরিবর্ধনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অসামান্য নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আসছেন।
তিনি ছিলেন ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং খাতে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধান নির্বাহী। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো ছিলোঃ ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। তিনি পেশাগত জীবনে কর্পোরেট ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, বৈদেশিক বাণিজ্য, ট্রেজারি, রিটেইল ব্যাংকিং, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শাখা ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন।
হুমায়রা আজম ১৯৯০ সালে ‘এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক’-এ ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর গৌরবময় কর্মজীবন শুরু করেন, এবং পরবর্তীতে দ্রুত পদোন্নতি পেয়ে তিনি বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি তিনটি বহুজাতিক ব্যাংক, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং দুটি স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর মেয়াদকালে, এইচএসবিসি বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি-তে তিনি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে তোলা থেকে শুরু করে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সফল কৌশল বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
সর্বশেষ, হুমায়রা আজম ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তার নেতৃত্বে ব্যাংকটি অপারেটিং মুনাফা, আমানত এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে, যার মধ্যে ভিসার প্রিন্সিপাল সদস্য হওয়া, মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগে স্বীকৃতি পাওয়া অন্যতম। তাঁর অসামান্য নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পরপর দুবার "সাসটেইনেবিলিটি রেটিং"-এ সেরা সাতটি ব্যাংকের মধ্যে নিজেদের স্থান করে নেয়।
হুমায়রা আজম তার দৃঢ় নেতৃত্বগুণ, বিশ্লেষণী দক্ষতা এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অক্সফোর্ড এর একটি এডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রামে তাকে বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও, তিনি ইনসিড থেকে এডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। তিনি ক্যামব্রিজ আইএফএ কর্তৃক WOMANi 2021 এবং 2022 প্রতিবেদনে ইসলামিক ব্যবসা ও অর্থায়নে প্রভাবশালী সাতজন নারীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে জেসিআই প্রদত্ত "উইমেন অফ ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড" ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের "টপ উইমেন ব্যাংকার্স অ্যাওয়ার্ড"। আর্থিক খাতে শীর্ষস্থানীয় অনেককে বিভিন্ন সময় তিনি পরামর্শ দেন। তাঁর কর্মজীবন ছিল তিনটি দর্শনে পরিচালিত। যেমনঃ কঠোর পরিশ্রম, সত্য কথা বলার সাহস এবং সৎ, মানবিক ও নম্রতার সাথে গ্রাহকদের সেবা করার প্রতিশ্রুতি।
হুমায়রা আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অসংখ্য পেশাদার প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন কর্মসূচি, কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
জনাব কামরুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব ট্রেজারী অ্যান্ড এফ আই হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বরত রয়েছেন। তিনি ৭ অক্টোবর, ১৯৯৭-এ তৎকালীন বণিক বাংলাদেশ লিমিটেডে যোগদান করেন। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স-এ তিনি বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং ফাইন্যান্স ও ট্রেজারীর কার্যাবলী দেখাশোনা করেছেন।
জনাব ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার হিসাবে দেশের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানী "প্রাণ গ্রুপ" এর সাথে তার কর্মজীবন শুরু করেন। জনাব কামরুল বাংলাদেশ মানি মার্কেট ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামডা) এর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
জনাব শামীম আল মামুন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। এর পূর্বে তিনি ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ডস লিমিটেড এর সিএফও এবং কোম্পানী সেক্রেটারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইন্সটিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর একজন ফেলো মেম্বার। তিনি বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ১০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
জনাব শামীম অ্যামেরিকান ইন্টারনেশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (এআইএউবি) থেকে কম্পিউটার সাইন্স অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা সিলেট ক্যাডেট কলেজ থেকে সম্পন্ন করেন। জনাব শামীম স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং ফোরকাস্টিং, প্রোসেস ডিজাইন এবং প্রোডাক্টিভিটি ইম্প্রুভমেন্ট, ফাইন্যান্সিয়াল গভর্নেন্স এবং মডেলিং, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট-এর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এছাড়াও তিনি আইসিএবি এর শিক্ষার্থীদের ট্রেইনিং এবং এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট এর প্রসেস তৈরীতে ভূমিকা রাখেন।
হেড অফ সিএমএসএমই ও রিটেইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ডিভিশন
জনাব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ২০১৩ সাল থেকে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের হেড অফ সিএমএসএমই ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস হিসেবে কর্মরত আছেন। জনাব খান ১৯ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যাংকিং এবং ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর সাথে জড়িত। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসিতে যোগদানের পূর্বে তিনি ব্র্যাক ব্যাংক এর এসএমই বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।
জনাব খান অ্যাকাউন্টিংয়ে এম.কম এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে মেজর সহ এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুল অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত এনআইবিএম, পুনে (ভারত)-এ এসএমই-এর অর্থায়ন সংক্রান্ত অ্যাডভান্সড ট্রেইনিং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া জনাব খান এসআইএম (সিঙ্গাপুর) এর অধীনে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং থিংকিং কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করেন। একজন উৎসাহী শিক্ষানবিশ জনাব কামরুজ্জামান খান বর্তমানে আমেরিকার হোয়ার্টন, পেনসিল্ভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “স্ট্রাটেজিক ম্যানেজমেন্ট” বিষয়ে প্রফেশনাল সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করছেন। ব্যবসায়িক উন্নয়ন, ঝুঁকি পরিচালনা, অর্গানাইজেশনাল ট্রান্সফরমেশন এবং সাসটেইনেবল ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে তার ব্যাপক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
জনাব মোহাম্মদ হাফিজ আল আহাদ, সিনিয়র এক্সেকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ হিউম্যান রিসোর্সেস হিসেবে তিনি লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের পিপল অ্যান্ড কালচার ফিলোসফি এবং স্ট্রাটেজির মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন।
জনাব হাফিজ একজন রেজাল্ট-ড্রিভেন এইচআর প্রফেশনাল যিনি প্রায় দুই দশক মানব সম্পদের বিভিন্ন সেক্টরে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক এর সাথে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন এবং এরপর তিনি নোকিয়া(নেটওয়ার্ক) কোম্পানীতে লীড এইচআর, ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল (পিএমআই) বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান এ হেড অফ এইচআর, দ্যা কোকাকোলা কোম্পানী (আইপিবিএল) বাংলাদেশের হেড অফ এইচআর, ইউনিভার্সিটি অফ লিবেরাল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এ ডিরেক্টর-সিএসও এবং রাহিমাফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড (আগোরা) এ হেড অফ এইচআর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন হিউম্যান ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সংস্থা ইউনিক গ্রুপে চীফ পিপল অফিসার (সিপিও) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জনাব হাফিজ একজন স্ট্রাটেজিক এবং ইনোভেটিভ এইচআর প্রোফেশনাল যিনি ব্যাবসায়িক স্ট্রাটেজিকে এইচআর অ্যাকশনে পরিণত করতে সক্ষম, যা দক্ষতা, অরগানাইজেশলান প্রফিটাবিলিটি, গ্রোথ এবং ইমপ্লোয়ী এনগেজমেন্ট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। হিউম্যান ক্যাপিটালকে সংস্থার সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে পরিনত করার জন্য কোম্পানী ও লিডারশিপ টিমকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
জনাব মোহাম্মদ হাফিজ একজন দক্ষ ইনফ্লুয়েন্সার যিনি ভিশন এবং স্ট্রাটেজিগুলোকে অ্যাকশনেবল এবং ভ্যালু-অ্যাডেড গোলে রূপান্তরিত করেন। কোম্পানীর পিপল এবং কালচার-এ নেতৃত্ব দেবার পাশাপাশি জনাব হাফিজ ম্যানকম, ইন্টিগ্রিটি কমিটি, আইসিটি স্টিয়ারিং কমিটি, এবং কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি কমিটি (সিএসআর) এর সদস্য হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি
মাসুম আলী বর্তমানে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি তে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদকে বিভিন্ন কৌশলগত ও নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সহায়তা প্রদান করছেন এবং কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা ও প্রযোজ্য আইনসমূহের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছেন।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে ২৩ বছরের বেশি সময় ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে যুক্ত থেকে জনাব আলী প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার দায়িত্বের পরিধিতে ছিল রেগুলেটরি রিপোর্টিং, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, বোর্ড সেক্রেটারিয়েট এবং হিসাব ও অর্থ বিষয়ক কার্যক্রম। সর্বশেষ তিনি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট – রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির গভর্ন্যান্স কাঠামোকে আরও সুসংহত করতে এবং নিয়মনীতি-ভিত্তিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও কর্পোরেট গভর্ন্যান্স বিষয়ে তার সুদৃঢ় জ্ঞান, পেশাদারিত্ব ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে পরিণত করেছে। প্রতিষ্ঠানের নীতিগত সঠিকতা, স্বচ্ছতা এবং সম্মতির মান বজায় রাখতে তার অবদান প্রশংসিত।
তিনি বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট (আইসিএবি)-এর অধীনে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সির ইন্টারমিডিয়েট লেভেল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও, তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলর অব কমার্স ডিগ্রি অর্জন করেন এবং জাতীয় মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান লাভ করে ব্যতিক্রমী একাডেমিক কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।
জনাব আলীর নেতৃত্বে কোম্পানি সেক্রেটারিয়েট কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সঙ্গে গঠিত সম্পর্ক ও সম্মতি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি সুশাসন ও প্রতিষ্ঠিত নীতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করছে।
মোঃ খায়রুল বাশার বর্তমানে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি-তে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ ক্রেডিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সম্পূর্ণ ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঋণ পোর্টফোলিওর মান ও কার্যকারিতা রক্ষা করছেন।
ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে দুই দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জনাব বাশার কর্পোরেট ব্যাংকিং, স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বিশেষভাবে দক্ষ। তার পেশাগত জীবনে তিনি দেশি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সে যোগদানের আগে তিনি ব্যাংক এশিয়া পিএলসি-তে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউনিট প্রধান (ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া, তিনি ব্যাংকটির এমসিবি দিলকুশা শাখায় ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবেও কিছু সময় দায়িত্ব পালন করেন, যা শাখা পরিচালনা ও প্রাত্যহিক কার্যক্রমে তার দক্ষতা প্রমাণ করে।
তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল ব্যাংক আল-ফালাহ লিমিটেড-এ তিনি কর্পোরেট ব্যাংকিং বিভাগে ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ পোর্টফোলিও পরিচালনা করেন এবং বড় অংকের ঋণ প্রস্তাব মূল্যায়নে ঝুঁকি ও সম্ভাব্য লাভের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করেন।
এছাড়াও, তিনি সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড-এর এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স সেল ও সিন্ডিকেট ও স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স সেলসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কাজ করেছেন, যা তাকে বিশেষায়িত ঋণপণ্য এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালার গভীর জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করেছে।
ক্রেডিট বিশ্লেষণ, নীতিমালা প্রণয়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও পোর্টফোলিও বিশ্লেষণে তার সুদক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠানের ঋণ ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা ও কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তিনি এমন একটি ঋণ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করছেন, যেখানে ব্যবসায়িক প্রসার ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মধ্যে কার্যকর ভারসাম্য বজায় থাকে।
তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে বিএ (২০০১) ও এমবিএ (২০০২) ডিগ্রি অর্জন করেন।
চিফ ক্রেডিট অফিসার হিসেবে জনাব বাশারের নেতৃত্বে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স একটি মানসম্মত ও ঝুঁকিসচেতন ঋণ পোর্টফোলিও গড়ে তুলছে, যা প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সুনাম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্পোরেট বিজনেস বিভাগের প্রধান
জনাব সালাউদ্দিন ওয়াহিদ আদনান বর্তমানে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি তে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কর্পোরেট বিজনেস বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্পোরেট ফাইন্যান্স, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা এবং কৌশলগত ব্যবসায় উন্নয়নে তাঁর ১৬ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি কর্পোরেট খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
তিনি কৌশলগত পরিকল্পনা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক রক্ষায় অবদান রেখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি উদীয়মান ও মধ্যম পরিসরের কর্পোরেট গ্রাহকদের নিয়ে গঠিত একটি বিভিন্ন খাতভিত্তিক পোর্টফোলিও পরিচালনা করছেন। তাঁর নেতৃত্বে পোর্টফোলিওর গুণমান, অপারেশনাল দক্ষতা এবং দায় আদায়ে ধারাবাহিকভাবে উচ্চমানের কর্মদক্ষতা অর্জিত হচ্ছে।
তাঁর নেতৃত্বে কর্পোরেট বিজনেস বিভাগ টানা চার বছর ধরে নন-পারফর্মিং লোন (NPL) এবং কস্ট-টু-ইনকাম রেশিও তে সর্বনিম্ন মাত্রা বজায় রেখেছে, যা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক শৃঙ্খলার প্রতিফলন।
পূর্বে তিনি কর্পোরেট এবং দায়ভিত্তিক ব্যবসার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে তিনি ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধিকে Asset Liability Management (ALM) এর কাঠামোর সঙ্গে সফলভাবে সামঞ্জস্য করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ডিজিটাল ক্লায়েন্ট অনবোর্ডিং, ঋণ প্রক্রিয়ার অটোমেশন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির একাধিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
জনাব আদনান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (BUP) থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এ বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১৪ সালে লংকাবাংলায় যোগদানের পূর্বে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইউনাইটেড ফাইন্যান্স পিএলসি এবং হাবিব ব্যাংক লিমিটেড এ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।